রহস্যময় কৈলাস জয়ে ব্যর্থ কেন সবাই

কৈলাস হলো ভগবান শিবের বাসস্থান। কৈলাস এর উচ্চতা মাত্র ৬৬৩৪ মিটার। কিন্তু কেউই এখনও  জয় করতে পারেনি এই কৈলাস পর্বত। কোনও এক রহস্যময় কারণে অজেয় এই কৈলাস । এই ভিডিওতে আজ আপনাদের জানাবো কৈলাস পর্বত কেন কেউ জয় করতে পারে না?       

বিশ্বের নানা দেশ থেকে পর্বতারোহীরা এসে চেষ্টা করেছেন কিন্তু কেউ কৈলাস জয় করতে সফল হয়নি।  কৈলাস তাদের কাছে অধরা থেকে গেছে। 

কৈলাস পর্বতের  কাছে রয়েছে মানস সরোবর এবং রাক্ষসতাল। মানস সরোবর বিশ্বের উচ্চতম মিষ্টি জলের হ্রদ। মানস-রাক্ষস দুইটি হ্রদ পাশাপাশি অবস্থিত। কিন্তু মানসে আছে মিষ্টি জল আর রাক্ষসে নোনা জল।  মানস সরোবরের জল শান্ত এবং  রাক্ষস তালের জল অশান্ত। রামায়ণে বলা হয়েছে শিবের  ভক্ত রাবণ তপস্যাবলে সৃষ্টি করেছিলেন এই হ্রদ।

কৈলাস পর্বতের পাশে অবস্থিত এই হ্রদগুলির আকৃতিও রহস্যময়। মানস সরোবর পূর্ণ গোলাকার এক জলাশয় এবং রাক্ষস তালের আকৃতি অর্ধচন্দ্রাকার। এই হ্রদ দুটি সূর্য ও চন্দ্রের শক্তিকে প্রকাশ করে। কৈলাস পর্বতের একটি রহস্যময় দিক হল এই পর্বতটি দেখতে  পিরামিড এর মতো। রাশিয়ার বিজ্ঞানী কৈলাশ সম্পর্কে বলেছিলেন যে এটি আসলে কোনও পর্বত নয়। কোনও মানুষের তৈরি বিশাল পিরামিড। কিন্তু এত বড় পিরামিড কোন মানুষের দ্বারাই তৈরি করা অসম্ভব।  

বিগত কয়েক বছরে কেউ কৈলাশে পৌঁছতে পারেননি। বর্তমানে জীবিতদের মধ্যে শুধু গুরু মিলারেপাই পা রাখতে পেরেছিলেন কৈলাসের শীর্ষে। তিনি ফিরে এসে  নিষেধ করেছিলেন এই পর্বত জয়ে যেতে।

কৈলাস  পর্বতে গেলে নাকি দ্রুত গতিতে বয়স বাড়ে।  তিনি নিজেই জানিয়েছেন কীভাবে যেন চোখের নিমেশে বয়স বেড়ে যায়। দুসপ্তাহে যে বয়স বাড়ে, মনে হয় তা যেন ১২ ঘন্টাতেই কৈলাশের উপর বেড়ে যায়। এটা কী করে  সম্ভব তা  এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আবার এটাও শোনা যায় যে প্রায়ই নাকি কৈলাস  নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে এজন্য  কৈলাস শৃঙ্গে বহু মানুষ পৌঁছতে ব্যর্থ হন। 

কৈলাশে যখন বরফ পড়ে তখন এটি ওম চিহ্নের আকার নেয় বলে শোনা যায়। শুধু ওম ই নয় স্বস্তিকা চিহ্নের অস্তিত্ব ও পাওয়া যায় কৈলাসে।  সন্ধ্যায় যখন সূর্য অস্ত যায় তখন কৈলাশের উপর একটি স্বস্তিকা চিহ্নের আকারে ছায়া পড়ে। এটা মনে করা হয় যে, সূর্য দেবতা কৈলাশকে এই চিহ্নের মাধ্যমে সম্মান জানাচ্ছেন। এইরকম হাজারো বিস্ময়ে ঘেরা এই কৈলাস। স্বর্গ এবং মর্ত্যের সংযোগস্হল ও বলা হয় কৈলাসকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *