রহস্যে ঘেরা যমরাজের একটি মন্দির

যমরাজ হলেন মৃত্যুর দেবতা।যমই প্রথম ব্যক্তি যিনি মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিলেন।শিব যমরাজকে মৃত্যুর অধীশ্বর পদে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।মৃত ব্যক্তির আত্মা কোন লোকে স্থান পাবে স্বর্গে নাকি নরকে যমই স্থির করেন।মৃত্যু‌র পর প্রত্যেককেই একবার না একবার যমরাজের সামনে উপনীত হতেই হয়। আজ আপনাদের জানাবো রহস্যে ঘেরা যমরাজের একটি মন্দির সম্পর্কে।          

৫০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লি থেকে প্রায় হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলার ভারমোর যমরাজের মন্দির এলাকায় রয়েছে৷যমরাজের এই মন্দির পরিচিত ধর্মেশ্বর মহাদেব মন্দির নামেও।এই মন্দিরেই মৃত ব্যক্তির আত্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় যমরাজের মৃত্যুর পর।এখানে বসেই যমরাজ তাদের সমস্ত পাপ-পূণ্যের বিচার করেন।যমরাজ একা নয়,এই মন্দিরের চিত্রগুপ্তও রয়েছেন।

পুরাণে কথিত আছে,এই মন্দিরের ভিতরে একটি আছে ঘর যেখানে চিত্রগুপ্ত থাকেন।এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অবস্থিত পাপ পুণ্যের হিসেব থাকে সমস্ত ব্যক্তির চিত্রগুপ্তের খাতায়৷স্থানীয়দের বিশ্বাস,প্রতিটি মানুষই মৃত্যুর পর এই মন্দিরের দোরগোড়ায় আসেন৷ মৃত্যুর পরবর্তী তার অবস্থান কোথায় হবে অর্থাৎ স্বর্গ না নরকে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয় এখানেই।

কথিত আছে, অতীতে এই মন্দিরে যারা ঢোকার চেষ্টা করেছেন  তারা কেউ সেখান থেকে বেচে ফিরতে পারেনি৷  এর আগে কেউ কেউ নাকি সাহস করে এখানে ঢুকেছিলেন, কিন্তু পরের দিন তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল‌।

কথিত আছে, মন্দিরটি নাকি পাহারা দেয় দুটি চার চোখওয়ালা কুকুর। এবং যমরাজের  ঘরের চারদিকে রয়েছে চারটি অদৃশ্য দরজা। সোনা, রুপো, তামা আর লোহায় তৈরি দরজাগুলো৷ যমরাজের বিচারের পরে যমদূত এসে কর্মফল অনুযায়ী এই চারটি দরজার একটি দিয়ে আত্মাকে স্বর্গ বা নরকে নিয়ে যায়। গরুড় পুরাণেও চারদিকে এমনই চারটি দরজার কথা উল্লেখ পাওয়া যায় যমরাজের দরবারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *