হিন্দু ধর্মীয় বিখ্যাত সংগঠন

হিন্দুধর্ম অতি প্রাচীন ধর্ম এবং এই ধর্মে রয়েছে বহু সংগঠন। আজ আপনাদের জানাবো হিন্দু ধর্মীয় বিখ্যাত কয়েকটি সংগঠন সম্পর্কে।  

১.আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ / ইসকন

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইসকন হলো একটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ১৯৬৬ সালের ১৩ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। সংক্ষেপে তিনি শ্রীল প্রভুপাদ নামে পরিচিত। অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের প্রকৃত নাম অভয়চরণ দে।

তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ১৯৬৫ সালে যান এবং এ সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬৬সালে।এই সংস্থাটি পরিচালনা করেন শ্রীল প্রভুপাদ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এবং শতাধিক মন্দির, আশ্রম, স্কুল ও কৃষ্ণকেন্দ্রের সমন্বয়ে এটিকে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে করেন।পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার মায়াপুরে অবস্থিত ইসকনের সদরদপ্তর।ইসকন গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের অনুসারী। ইসকনের মূল ধর্মবিশ্বাস শ্রীমদ্ভাগবত ও ভগবদ্গীতা গ্রন্থদ্বয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

ভক্তিযোগ ইসকনের মূল উপজীব্য।ভগবান কৃষ্ণকে তুষ্ট করাই ইসকনের ভক্তদের জীবনের মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন দেশে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসকনের প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ হলো সুশৃঙ্খলভাবে মানবসমাজে ভগবৎতত্ত্ব প্রচার করা, ভগবদ্গীতা ও শ্রীমদ্ভাগবতের দর্শন অনুসারে কৃষ্ণভাবনার তত্ত্ব বিশ্বে প্রচার করা, শ্রীচৈতন্য প্রবর্তিত নামকীর্তন আন্দোলন সম্পর্কে সকলকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা দেওয়া। এছাড়াও ইসকনের অন্যতম ধর্মীয়।

উদ্দেশ্য সমূহ হলো জনসেবা, শিক্ষা, ধর্মচর্চা ও অধ্যাত্মচর্চা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসকনের বহু মন্দির অবস্থিত ।  বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে ইসকনের কর্মকান্ড শুরু হয়।  বর্তমানে এই দেশে   ১২টি ইসকন মন্দির রয়েছে।

২.রামকৃষ্ণ মিশন

রামকৃষ্ণ মিশন জনকল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী একটি ভারতীয় ধর্মীয় সংগঠন। ১২৩ বছর আগে,১৮৯৭ সালের ১ মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।এই সংগঠনটি রামকৃষ্ণ আন্দোলন বা বেদান্ত আন্দোলন নামক বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক আন্দোলনের প্রধান প্রবক্তা। রামকৃষ্ণ মিশনের সদরদপ্তর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কলকাতার নিকটবর্তী হাওড়া জেলার বেলুর মঠে অবস্থিত। এই সংগঠনটি প্রাচীন হিন্দু দর্শন বেদান্তের অনুগামী। রামকৃষ্ণ মিশন রামকৃষ্ণ মঠ কর্তৃক অনুমোদিত এবং রামকৃষ্ণ মঠের সদস্যরা রামকৃষ্ণ মিশনেরও সদস্য। এই মিশনের প্রায় ২০০ শাখাকেন্দ্র রয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনের প্ উদ্দেশ্য গুলো হলো শিক্ষাবিস্তার, মানবসেবা, ধর্মীয় গবেষণা, আধ্যাত্মিকতা ইত‍্যাদি। এছাড়াও এই মিশন স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণকার্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী কল্যাণ, বুনিয়াদি ও উচ্চশিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই মিশন শতাধিক সংঘবদ্ধ সন্ন্যাসী ও সহস্রাধিক গৃহস্থ শিষ্যের একটি যৌথ উদ্যোগ। রামকৃষ্ণ মিশন ১৯০৯ সালে ১৮৬০ সালের একুশ সংখ্যক আইন অনুসারে বৈধ স্বীকৃতি লাভ করে।এই মিশনের সেবা সমস্ত  বিশ্বব্যাপী।বাংলাদেশে ও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন অবস্থিত। ঢাকার জমিদার যোগেশ চন্দ্র দাসের দান করা সাত বিঘা জমিতে এই মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মঠটি বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান কার্যালয়।

৩.সৎসঙ্গ

শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ কর্তৃক প্রবর্তিত একটি ধর্মীয় আন্দোলন ১৯২৯ সালে।সৎসঙ্গ এর আদর্শ হলো, ধর্ম কোনো অলৌকিক ব্যাপার নয় বরং বিজ্ঞানসিদ্ধ জীবন সূত্র।সৎসঙ্গের সদরদপ্তর ভারতের ঝাড়খন্ডের  দেওঘরে সৎসঙ্গ নগরে অবস্থিত।এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য সমূহ শিক্ষাবিস্তার, মানবসেবা, ধর্মীয় গবেষণা, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি। সৎসঙ্গের পাঁচটি মূলনীতি হলো যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি, স্বস্ত্যয়নী এবং সদাচার। বর্তমানে সৎসঙ্গের নূন্যধিক পাঁচ সহস্র কেন্দ্র আছে।  ভারতবর্ষ ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, ব্রহ্মদেশ, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমিরিকাতেও ছড়িয়ে আছে সৎসঙ্গের এই কেন্দ্রগুলো। ভারতে প্রায় সমস্ত প্রদেশে গড়ে উঠেছে সৎসঙ্গ বিহার। সৎসঙ্গ এর অন্যতম উদ্দেশ্য মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।বাংলাদেশে সৎসঙ্গ আশ্রমটি অবস্থিত পাবনা শহরের সন্নিকটে হেমায়েতপুর গ্রামে। 

৪.মতুয়া

মতুয়া একটি হিন্দুধর্মীয় লোকসম্প্রদায়। হরিচাঁদ ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক। তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন।মতুয়া শব্দের অর্থ হরিনামে যিনি মেতে থাকেন অর্থাৎমেতে থাকা  বা মাতোয়ারা হন তিনিই মতুয়া। সম্প্রদায় একেশ্বরবাদে মতুয়া বিশ্বাসী।মতুয়াদের প্রধান মন্দির গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে অবস্থিত। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে এখানে মেলা বসে।বাংলাদেশের সর্বত্রই মতুয়ারা বসবাস করে।এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আন্দামান প্রভৃতি স্থানেও মতুয়ারা রয়েছে।মতুয়া সম্প্রদায়ের ভজন-সাধনের মাধ্যম হচ্ছে সংকীর্তন নাম।ভক্তিতেই মুক্তি তাদের বিশ্বাস।মতুয়ারা বারোটি নিয়ম পালন করে যা দ্বাদশ আজ্ঞা  নামে পরিচিত এবং আদর্শ গার্হস্থ্য জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই মতুয়া ধর্মের চর্চা করা যায়।মতুয়ারা প্রতি বুধবার একত্রিত হয়ে হরিস্মরণ করে, একে হরিসভা বলা হয়।

৫.ভারত সেবাশ্রম সংঘ 

ভারত সেবাশ্রম সংঘ  ভারতে অবস্থিত একটি হিন্দু দাতব্য বেসরকারি সংগঠন । ১৯১৭ সালে আচার্য শ্রীমত স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এই সংঘের প্রধান কার্যালয় কলকাতার বালীগঞ্জে অবস্থিত। এই  সংঘের ভারত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গায়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, কানাডা, ফিজি এবং বাংলাদেশ সহ প্রায় ১০০টি আশ্রম রয়েছে । মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতেও বেশ কিছু মিশন শুরু করেছে এই সংঘ। সামাজিক কাজকর্ম, দরিদ্রদের সাহায্য করা দুঃস্থ ও চাহিদাসম্পন্নদের স্বাস্থ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য স্বীকৃত এই সংঘ। এই সংঘের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো শিক্ষামূলক, মানবহিতৈষী, ধর্মীয় পড়াশোনা, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি।  ভারত সেবাশ্রম সংঘ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ , ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ, ২০০১ এর গুজরাট ভূমিকম্প এবং ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের সুনামিতে  মানুষের সেবা করেছে। ২০১৬ সালে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে মহা জাগরণ যাত্রা নামে এক রথ বের করেছিল এই সংঘ। 

৬.আনন্দমার্গ

আনন্দমার্গ অর্থাৎ আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘ হল 

একটি সামাজিক ও আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান।

প্রভাতরঞ্জন সরকার তথা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি

১লা জানুয়ারী ১৯৫৫ খ্রীস্টাব্দে ভারতের অঙ্গরাজ্য বিহারের জামালপুরে এই সংঘটি প্রতিষ্ঠিত করেন।  বর্তমানে এই সংঘটনটির প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশে রয়েছে। 

আনন্দমার্গ দর্শনের মূলকথা হল আত্মার মোক্ষপ্রাপ্তি ও জগতের কল্যাণ সাধন করা। 

আনন্দমার্গের ৯টি প্রধান সেক্টর বা হেডকোয়ার্টার রয়েছে এগুলো হলো  দিল্লি সেক্টর, হংকং সেক্টর, ম্যানিলা সেক্টর, নিউইয়র্ক সেক্টর, জর্জটাউন সেক্টর, সুবা সেক্টর, কায়রো সেক্টর, নাইরোবি সেক্টর এবং বার্লিন সেক্টর।

বিশাল কর্মযজ্ঞকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য আনন্দমার্গের মোট ২৮টি বিভাগ রয়েছে। আবার এই বিভাগগুলোর উপবিভাগও রয়েছে। ১৯৯৬  সালে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। শিক্ষা সম্পর্কে আনন্দমার্গের নিজস্ব অভিমত হলো, মানুষকে সর্বপ্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন থেকে মুক্ত করাই হলো প্রকৃত শিক্ষা।

৭.শিবানন্দ আশ্রম

শিবানন্দ আশ্রম বা ডিভাইন লাইফ সোসাইটি হলো  হিন্দু-ধর্মীয় একটি প্রতিষ্ঠান এবং আশ্রম। এটি স্বামী শিবানন্দ স্বরস্বতী  ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শিবানন্দ আশ্রমের সদরদপ্তর ভারতের উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশ এ অবস্থিত। এই আশ্রমের উদ্দেশ্য শিক্ষামূলক ,জনকল্যাণ, ধর্ম-সংক্রান্ত গবেষণা ও

আধ্যাত্মিকতা। শিবানন্দ আশ্রমের ফ্রি লিটারেচার সেকশন সারা পৃথিবীব্যাপী ভক্তদের মাঝে বিভিন্ন বই এবং সাহিত্যকর্ম বিনামূল্যে বিলি করে। এছাড়াও শিবানন্দ চ্যারিটেবল হসপিটাল বিনামূল্যে সেবা প্রদান করে এবং ত্রৈমাসিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে। দুঃস্থ রোগীদের খাদ্য, পোশাক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে পাশে দাঁড়ায় শিবানন্দ হোম। শিবানন্দ আশ্রম বা ডিভাইন লাইফ সোসাইটির কেন্দ্রগুলো অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, কানাডা প্রভৃতি দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

৮.গৌড়ীয় মিশন

গৌড়ীয় মিশন  গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মীয় ও মিশনারি সংগঠন। ১৯৪০ সালে আচার্য ব্রহ্মচারী অনন্ত

বাসুদেব গৌড়ীয় মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই মিশনের সদরদপ্তর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের 

কলকাতায় অবস্থিত। এই মিশনের  উদ্দেশ্য

শিক্ষাগত,সমাজসেবামুলক, ধর্মীয় গবেষণা ও আধ্যাত্মিকতা। গৌড়ীয় মিশনের ভারতে ২৬ টি, বাংলাদেশে ৩ টি,  যুক্তরাজ্য ১টি ও যুক্তরাষ্ট্র একটি মঠ আছে।  

৯.শ্রী সারদা মঠ

শ্রী সারদা মঠের নামকরণ করা হয়েছে শ্রী সারদা দেবীর নামে।  ১৯৫৪ সালের ২ ডিসেম্বর শ্রী সারদা মঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দের নির্দেশ অনুসারে  এই মঠটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে শ্রী সারদা মঠের সদর দফতর অবস্থিত।  এই  সংগঠনটি মূলত বেদান্তের হিন্দু দর্শন, অদ্বৈত বেদান্ত এবং চারটি যোগিক আদর্শ  প্রচার করে। শ্রী সারদা মঠ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই সংগঠনটি তাদের নিঃস্বার্থ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এই সংস্থাটির শ্রীলঙ্কা,  অস্ট্রেলিয়ায় এবং সমগ্র ভারতে শাখা কেন্দ্র রয়েছে।

১০.আর্য সমাজ

আর্য সমাজ  স্বামী দয়ানন্দ কর্তৃক ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি হিন্দু সংগঠন ও সংস্কার আন্দোলন। আর্য সমাজের সদরদপ্তর ভারতের রাজস্থানের আজমির। এই সংগঠনের  উদ্দেশ্য

বৈদিক শিক্ষাবিষয়ক, ধার্মিক অধ্যায়ন, আধ্যাত্মিকতা ও সমাজ সংস্কার। আর্য সমাজের সদস্যগণ একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *