বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী মন্দির

‘মন্দির’ বা ‘দেবালয়’ হলো ‘দেবতার গৃহ’. সাধারণত যে দেবতার মন্দির, মন্দিরের কেন্দ্রে সেই দেবতার মূর্তি স্থাপিত হয়। মন্দিরে প্রধান দেবতার পাশাপাশি অন্যান্য দেবতাও পূজিত হতে পারেন।কিছু কিছু মন্দিরের রয়েছে নিজস্ব রহস্য।এমনই অনেক মন্দির আছে যে মন্দির গুলোতে রয়েছে রহস্যের পাশাপাশি বিপুল সম্পদ। বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী  মন্দির সর্ম্পকে।

১.পদ্মনাভস্বামী মন্দির, কেরালা

বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী  মন্দির ভারতের কেরালা রাজ্যের রাজধানী থিরু অনন্তপুরম শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পদ্মনাভ স্বামী মন্দির। ভগবান বিষ্ণুই এই মন্দিরে পদ্মনাভ স্বামী হিসেবে পূজিত হন।

পদ্মনাভস্বামী মন্দিরটি ‘ ভারতের এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মন্দির ।

শ্রী পদ্মনাভ স্বামী মন্দিরকে ‘স্বর্ণ মন্দির’ রূপেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। মন্দিরের রেকর্ডে বলা হয়েছে, কলিযুগের শুরুতে দিবাকর ঋষি এই মন্দিরটির নির্মাণকাজ শুরু করেন যা প্রায় ৯৬৪ দিন ধরে চলেছিল।

ব্রহ্ম পুরাণ, মৎস্য পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, বায়ু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ এবং মহাভারতের মতো বেশ কয়েকটি গ্রন্থে ও এই মন্দিরটির উল্লেখ রয়েছে।

এই মন্দিরে ৭ টি গুপ্ত কক্ষ আছে । যদিও ৬ টি কক্ষ খোলা হয়েছে মাননীয় সুপ্রিম কোটের অনুরোধে , কিন্তু একটা কক্ষ এখনও খোলা হয় নি।মন্দিরের ৬ টি কক্ষ থেকে    ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যমানের সম্পদ পাওয়া গেছে।

মন্দিরের রয়েছে বিশাল ধনভাণ্ডার .

এই ধনভাণ্ডারের মধ্যে অন্যতম  হল মহাবিষ্ণুর সোনার মূর্তি’ যার ওজন প্রায় ৩০ কিলোগ্রামের মত। অগণিত হীরা, রুবি, পান্না, নীলা খচিত একটি সোনার সিংহাসন যাতে অন্তত সাড়ে ৫ মিটার দীর্ঘ একটি মূর্তি স্থাপন করা যায়। ১৮ ফুট লম্বা সোনার চেইন, ৫০০ কেজি ওজনের সোনার স্তূপ, রত্নখচিত ১,২০০টি সোনার চেইন প্রভৃতি।

তিনটে সম্পূর্ণ সোনার মুকুট যাতে মূল্যবান পাথর বসানো।

স্বর্ণের জিনিসপত্র, নেকলেস, মুকুট, হীরা, রুবি, নীলকান্তমণি, পান্না, রত্ন পাথর ও মূল্যবান ধাতব দ্রব্যাদি ভর্তি কয়েকটি বস্তা।

দেবমূর্তির শরীর আচ্ছাদনের জন্য প্রায় ৩০ কেজি ওজনের স্বর্ণের আবরণ।১৮ শতকের নেপোলিয়নের আমলের মুদ্রা। রোমান সাম্রাজ্যের কয়েক হাজার মুদ্রা ইত্যাদি|

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মন্দিরের সম্পদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ  করা না হলেও, কমিটির সদস্য ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করা পত্রিকার রিপোর্ট থেকে সেখানে বিদ্যমান অজস্র ধন দৌলতের মধ্যে কিছু কিছু সম্পদের বর্ণনা জানা যায়. সম্পূর্ণ বিবরণী প্রকাশ করা হয় নি তাতেই এই অবস্থা, প্রকাশিত হলে আরও কী কী পাওয়া যেতে পারে তার পুরোটা অনুমান করা হয়ত সম্ভব নয়।

 আর তার পর সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির হয়ে উঠে এক মহা বিস্ময়ের নাম।শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে এখনও এমন কক্ষ রয়েছে যা উন্মুক্ত নয় এবং সেগুলি আবিষ্কারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে, এই মন্দিরটি, অনন্তকাল এইরকমই অমূল্য থাকবে।

২. তিরুপতি বালাজি মন্দির/তিরুমালা তিরুপতি ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির

বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী  মন্দির বেঙ্কটেশ্বর মন্দির হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিত্তুর জেলার অন্তর্গত তিরুপতির তিরুমালা  শহরে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রধান বিষ্ণু মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য দেবতা হলেন  বিষ্ণুর অবতার বেঙ্কটেশ্বর। তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির তিরুপতি মন্দির, তিরুমালা মন্দির ও তিরুপতি বালাজি মন্দির নামেও পরিচিত। দৈনিক প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ (বছরে গড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি) তীর্থযাত্রী এই মন্দির দর্শন করতে আসেন। ব্রহ্মোৎসবম্‌ প্রভৃতি বার্ষিক উৎসবগুলিতে এই মন্দিরে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ৫০০,০০০ ছাড়িয়ে যায়। তীর্থস্থান।মন্দিরটিকে “সাতটি পাহাড়ের মন্দির” হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়।২০০৮ সালে এই মন্দিরের বার্ষিক আয় ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার।

শ্রীবারি হুন্ডি ভক্তদের দান থেকে মন্দিরের প্রধান আয় হয়।তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের একটি বিশেষ প্রথা হল ‘মোক্কু’ (মাথার চুল দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন)। প্রতিদিন প্রায় এক টন চুল মন্দিরে সঞ্চিত হয়। চুল বিক্রি করে মন্দিরের কোষাগারে বছরে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সঞ্চিত হয়।[ হুন্ডি সঞ্চয়ের পরই এটি মন্দিরের দ্বিতীয় বৃহত্তম আয়ের উৎস।তীর্থযাত্রীদের অনুদান হিসাবে, মন্দিরটি প্রতি বছর নগদ, স্বর্ণ এবং অন্যান্য নৈবেদ্য মিলিয়ণ  মিলিয়ন ডলারের বেশি গ্রহণ করে।

প্রতি বছর, মন্দিরের অনুদানটি সহজে সঞ্চয় করার জন্য ৩০০০ কেজি সোনার বারে রূপান্তরিত হয়।

৩. বৈষ্ণো দেবী মন্দির, জম্মু

বৈষ্ণো দেবী  মন্দিরটি জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ত্রিকুতা পর্বতমালার কাটরায় অবস্থিত একটি মন্দির. মাতা বৈষ্ণো দেবীকে উত্সর্গীকৃত এই মন্দিরটি ভারতের ৫১ টি শক্তি পীঠগুলির মধ্যে একটি হিসাবে স্বীকৃত। ৫,২০০ ফুট উঁচু ত্রিকূট ভগবতী পাহাড়ের একটি গুহায় এই মন্দিরটি অবস্থিত।

পবিত্র গুহায় মা বৈষ্ণো দেবীর দর্শন তিনটি প্রাকৃতিকভাবে নির্মিত পাথরের আকারে রয়েছে যা পিন্ডি নামে পরিচিত। এই পিন্ডিগুলি দেবীর তিনটি রূপকে মহা কালী, মহা সরস্বতী এবং মহা লক্ষ্মী হিসাবে প্রকাশ করে।বৈষ্ণ দেবী মন্দিরে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লক্ষ লোক আসেন। বহু ভক্তদের আগমন বাড়তে থাকায় শেষ কয়েক বছর ধরে এই মন্দিরের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মন্দিরের বার্ষিক আয় বর্তমানে প্রায়ই ৫০০ কোটি রূপি।

৪. সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, মুম্বাই

মুম্বাইয়ের সমস্ত পবিত্র স্থানগুলির মধ্যে শ্রী সিদ্ধিভিনায়ক মন্দির হল সবথেকে জনপ্রিয় .

বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী  মন্দির এই মন্দিরটি ভগবান গণেশের প্রতি নিবেদিত এবং ১৮০১ সালে এক নিঃসন্তান ব্যক্তি দেউবাই পাতিল দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই দম্পতির নিজস্ব কোনও সন্তান ছিলো না তাই  সিদ্ধিভিনয়াক মন্দিরটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল  যাতে অন্যান্য নিঃসন্তান মহিলারা ভগবান গণেশের কাছে প্রার্থনা করতে পারেন।

মন্দিরে একটি ছোট গর্ভগৃহ রয়েছে যা শ্রী গনেশের মূর্তি রয়েছে, যা প্রায় আড়াই ফুট প্রশস্ত ।মন্দিরের প্রধান দেবতা ৪ কেজি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি।

মন্দিরটি প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি রূপিi অনুদান পায়।

মন্দিরের অন্যান্য নৈবেদ্যর মধ্যে, মন্দিরটি প্রচুর পরিমাণে সোনার বার ও অলঙ্কার সমেত সোনা পেয়ে থাকে৷ কখনও কখনও, এই সোনার বার ও অলঙ্কার নগদে পরিবর্তন করার জন্য, মন্দিরের ট্রাস্ট ভক্তদের দান করা অলঙ্কারের নিলাম করে৷ মন্দির কর্তৃপক্ষ মূলত অক্ষয় তৃতীয়া, চতুর্থী ইত্যাদির মত শুভ দিনগুলিতে এই নিলাম পরিচালনা করে৷

২০১৬-২০১৭ সালে, মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রায় ভারতীয় মুদ্রায় ১১ লাখের কাছাকাছি মূল্যের সোনার অলঙ্কার পায়।সম্প্রতি এই মন্দিরের এক ভক্ত ৩৫ কেজি সোনা দান করেছিলেন।যার মূল্য কয়েকশ কোটি টাকা।

৫.শিরদী সাঁই বাবা মন্দির, শিরদী

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তীর্থস্থানগুলির মধ্যে আরেকটি, শিরদী সাঁই বাবা মন্দিরটিও অন্যতম ধনী। মন্দিরটি ১৯২২ সালে নির্মিত হয়েছিল।শিরদীর সাঁই বাবা ছিলেন এক ভারতীয় আধ্যাত্মিক গুরু. যিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসবাস করতেন, বিশ্রামের সময় ইঁটে মাথা দিয়ে ছেড়া মাদুরে শুতেন, খাবারের জন্য ভিক্ষে করতেন সেই সাঁই বাবার প্রতিমা বসা রয়েছে দুই ভক্তের দ্বারা দান করা ৯৪ কেজি সোনার সিংহাসনে যার মূল্য প্রায় কয়েক  কোটি রূপি।

মন্দিরে প্রায় ৩২ কোটি রূপি স্বর্ণ ও রৌপ্য গহনা এবং ৬ লক্ষ রূপির বেশি মূল্যবান রৌপ্য মুদ্রা রয়েছে।  প্রতি বছর প্রায় 200 কোটি রুপির অনুদান আসে এই মন্দিরে।

৬. স্বর্ণমন্দির ,অমৃতসর

বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী  মন্দির হরমন্দির সাহিব বা দরবার সাহিব বা  স্বর্ণমন্দির  শিখধর্মের পবিত্রতম তীর্থস্থান। এটি চতুর্থ শিখ গুরু রাম দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অমৃতসর শহরে অবস্থিত। মন্দিরটি ১৫৮৮ থেকে ১৬০৪ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে স্থাপিত হয়েছিল.

প্রতি মাসে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা গুরুদ্বারা তে জড়ো হন .

এটি অনুমান করা হয় যে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০,০০০ দর্শনার্থী এখানে স্বর্ণ মন্দিরে ভিড় করেন।মন্দিরটি প্রতিদিন ১০,০০০ বেশি লোককে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে।

অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের বার্ষিক আয় প্রায় ৫০ কোটি রূপি।

৭. মীনাক্ষী মন্দির, মাদুরাই

বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী  মন্দির মীনাক্ষী মন্দির  একটি ঐতিহাসিক ও উল্লেখযোগ্য মন্দির, যা দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে ভাইগাই নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত৷ মন্দিরটি দেবী পার্বতীর মীনাক্ষী রূপ এবং তার স্বামী শিবের সুন্দরেশ্বর রূপের উদ্দেশ্যে নিবেদিত.

প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার ভক্তদের পদচারণা লক্ষ্য করার যায় এই মন্দিরে।

প্রতি বছর ২৫,০০০ এরও বেশি লোক এই মন্দিরে যান এবং বিশেষ উত্সবগুলির সময় এটি বেশ ভিড় করে। ১০ দিনের বার্ষিক মীনাক্ষী তিরুকল্যানম উত্‍সবের সময় এই বিশাল মন্দিরে প্রায় এক মিলিয়ন দর্শনার্থীর সমাগম হয়।দুটি স্বর্ণের গাড়ি এবং প্রায় ৩৩,০০০ ভাস্কর্য মন্দির প্রাঙ্গনে অবস্থিত, মীনাক্ষী মন্দিরটিও ভারতের অন্যতম ধনী মন্দির।

এই মন্দিরে প্রতিবছর আয় হয় ৬ কোটি রূপি।

৮. সোমনাথ মন্দির, গুজরাট

সোমনাথ মন্দির ভারতের একটি প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। গুজরাট রাজ্যের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের বেরাবলের নিকটস্থ প্রভাস ক্ষেত্রে এই মন্দির অবস্থিত। সোমনাথ মন্দিরটি ‘চিরন্তন পীঠ’ নামে পরিচিত.

দক্ষ প্রজাপতি কর্তৃক অভিশপ্ত হয়ে চন্দ্র প্রভাস তীর্থে শিবের আরাধনা করলে, শিব তাঁর অভিশাপ অংশত নির্মূল করেন। এই কারণে চন্দ্র সোমনাথে শিবের একটি স্বর্ণমন্দির নির্মাণ করেন। পরে রাবণ রৌপ্যে, কৃষ্ণ চন্দনকাষ্ঠে এবং রাজা ভীমদেব প্রস্তরে মন্দিরটি পুনর্নিমাণ করেছিলেন

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত আছে এই মন্দিরে।অনুমান করা হয় মন্দিরের নিট মূল্য ১১ কোটি রূপির বেশি।

৯. জগন্নাথ মন্দির, পুরী

পুরীর জগন্নাথ মন্দির  ওড়িশা বা উড়িষ্যার পুরী পূর্ব সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত একটি বিখ্যাত  মন্দির.

 এটি চারধামের অন্যতম যেখানে সকল ধার্মিক ব্যক্তি  জীবনে অন্তত একবার যেতে চান। 

বিশ্বের শীর্ষ দশটি ধনী  মন্দির মন্দিরে অনেক গুলো গোপন কক্ষ আছে। ৩৪ বছর আগে মাত্র তিনটি ঘরের তালা খুলতে সক্ষম হয়েছিলেন কর্মকর্তারা। যে কক্ষগুলি খোলা সম্ভব হয়েছিল, সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ রকমের মণিমুক্তো খচিত স্বর্ণ অলঙ্কার। যার মধ্যে আছে মুক্তো, প্রবালের মতো অত্যন্ত দামী পাথর। এছাড়া, ১৪৬ রকমের রৌপ্য অলঙ্কার। ১৫০ রকমের স্বর্ণ অলঙ্কার আছে। যার মধ্যে তিনটি স্বর্ণহার আছে। যার এক একটির ওজন প্রায় দেড় কেজি। শ্রীজগন্নাথ এবং বলভদ্রের স্বর্ণ শ্রীভুজ ও শ্রীপায়রের ওজন যথাক্রমে সাড়ে ৯ কেজি এবং সাড়ে ৮ কেজি। জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার স্বর্ণ মুকুটের ওজন ৭ কেজি, ৫ কেজি এবং ৩ কেজি।

এই মন্দিরটিতে প্রতি বছর বিশেষত রথযাত্রা উত্সবে, তীর্থযাত্রীদের প্রচুর ভিড় হয়।

১০. কাশী বিশ্বনাথ মন্দির

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বারাণসীতে অবস্থিত একটি বিখ্যাত  মন্দির।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির “জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির” নামে পরিচিত শিবের বারোটি পবিত্রতম মন্দিরের অন্যতম। মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব “বিশ্বনাথ” বা “বিশ্বেশ্বর” নামে পূজিত হন। মন্দিরের ১৫.৫ মিটার উঁচু চূড়াটি সোনায় মোড়া। তাই মন্দিরটিকে স্বর্ণমন্দিরও বলা হয়ে থাকে.এই মন্দিরে প্রতিদিন ৩০০০ এরও বেশি লোক যান এবং উত্সবগুলির সময় মাথার সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। মন্দিরের বার্ষিক অনুদান প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি রূপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *